চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে খরচ কমবে উৎপাদন বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা (২৮ অক্টোবর): সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাণিজ্য প্রসারের হাতিয়ার’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নতুন প্রজন্মকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন, সে সময় অনেকের কাছেই তা অসম্ভব মনে হয়েছিল।
আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্পনা নয়, বাস্তব। প্রযুক্তির ছোঁয়া সবক্ষেত্রেই লেগেছে। তিনি বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরী পোশাক। প্রযুক্তির সুবাদে উৎপাদন খরচ এবং প্রশাসনিক খরচ কমেছে বেড়েছে উৎপাদন। এখন বিশ^ব্যাপী তৈরী পোশাক সেক্টরে ম্যান মেড ফাইবার প্রায় ৭০ ভাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বিশ^বাজারে প্রতিযোগিতায় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এখন বাংলাদেশ মাত্র ২৫ ভাগ ম্যান মেড ফাইবার ব্যবহার করছে। টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের পিছিয়ে থাকার উপায় নেই। পৃথিবী এখন প্রযুক্তি নির্ভর। পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের চিন্তা ও চেতনায় প্রযুক্তির ব্যবহার মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগে ফোর আইআর ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ক্রসবর্ডার বাণিজ্যের খরচ কমিয়ে দিয়েছে। ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সকল কাজ সহজ হয়েছে এবং খরচ কমেছে। দেশে এখন প্রচুর আইসিটিতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি হয়েছে।
২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশে^র মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এজন্য বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ফোর আইআর-এ সামিল হয়ে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসীন হতে হবে। এজন্য ফোর আইআর সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। তবেই বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক) ডব্লিউটিও সেল মো. হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিষয়ের উপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুনীর হাসান।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন-সলিউশন আর্কিটেক্ট, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের লীডার মোহাম্মদ মাহ্দী-উজ-জামান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, দি কম্পিউটার্স লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিক-ই-রাব্বানী, ডাটা সফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান এবং আইসিটি ইন্ডাষ্ট্রি স্কিলস কাউন্সিল এর সভাপতি শাবকাত হায়দার।